রংপুর সংবাদদাতা : রংপুর বিভাগের অবৈধ ইট ভাটা বন্ধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের আদালত এ নির্দেশ দেন।
রিট মামলায় আবেদনকারী হলেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে অ্যাডভোকেট ছারওয়ারা আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল। অপরদিকে বিবাদীরা হলেন, সচিব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সচিব পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়, সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সব বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারসহ মোট ২১ জন।
এইচআরপিবির পক্ষে মামলাটি শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
উল্লেখ্য, সারা দেশের অবৈধ ইটভাটা বন্ধ চেয়ে জনস্বার্থে এইচআরপিবি একটি রিট পিটিশন দায়ের করলে আদালত রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে উক্ত নির্দেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় এইচআরপিবি একটি আবেদন দায়ের করলে আদালত রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে আদালতের আদেশ মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন আজ আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল করে উল্লেখ করেন যে রংপুর বিভাগে ৮১২টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। আদালতের আদেশ অনুসারে ১৮টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে।
শুনানিতে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ১৫৫টি অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে ১টি ইটভাটাও বন্ধ করেননি, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ৮৬টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৭টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করেছেন, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ১৭৫টি অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে ১০টি বন্ধ করেছেন, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক ২৪টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ১টি অবৈধ ইটভাটা মাত্র বন্ধ করেছেন। তিনি শুনানিতে বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের রিপোর্ট অনুসারে ৮১২টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে মাত্র ১৮টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে যা আদালতের নির্দেশনা অমান্যের সামিল। সে প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অমান্য করায় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান।