নববর্ষ উদযাপনের সাথে সাথে প্রকৃতির নিয়মে প্রথমেই আমরা গ্রীষ্মকে আলিঙ্গন করি। ইতোমধ্যেই গ্রীষ্ম প্রকৃতিতে তার তেজ দেখানো শুরু করে দিয়েছে।
পুরো এপ্রিল জুড়েই চলে গরমের তাপদাহ। এই মুহূর্তে তাপমাত্রার পারদ ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত বিরাজ করছে, যা জনজীবনে হুমকিস্বরূপ।
বনভূমি ধ্বংস হওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে আমাদের ওপর। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না, বিভিন্ন কাজে অফিসে বা বাইরে বের হওয়ার দরকার হয়। তাই এ সময়ে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থতা এড়াতে কিছু সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে।
১। প্রয়োজন ছাড়া তীব্র তাপদাহে বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বেরোলেও সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করতে হবে। বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত রোদের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে।
২। সব সময় রোদচশমা, ছাতা, টুপি ইত্যাদি সাথে রাখতে হবে। প্রয়োজনে সানমাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩। পাতলা, ঢিলেঢালা হালকা রঙের সুতি পোশাক পরিধান করতে হবে।
৪। বাইরে বের হওয়ার সময় বিশুদ্ধ খাবার পানির বোতল সাথে রাখতে হবে। বাসায় বানানো ফলের জুস ও লাচ্ছি রাখা যেতে পারে। এগুলো শরীরকে আর্দ্র রাখে।
৫। তীব্র তাপদাহে বাইরের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, কারণ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ এ সময় বেড়ে যায়। এ সময় প্রকৃতিতে রোগজীবাণু বহনকারী ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপদ্রবও বাড়ে।
৬। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের পরিবর্তে বেশি করে শাক-সবজি, ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
৭। প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করতে হবে। বাইরে থেকে এসে ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে শরীরের ঘাম মুছে নিতে হবে। কারণ ঘাম শরীরে শুকিয়ে এ সময় চর্মরোগ হতে পারে।
৮। ঘর-বাড়িতে যাতে স্বাভাবিকভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে তাই সম্ভব হলে দরজা-জানালা খুলে দিয়ে ক্রস ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৯। বাইরের গরম থেকে এসে যথাসম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা শরবত পান করতে হবে।
১০। তীব্র গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।