গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা : আট মাস আগের এক খুনের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ওসমান গণি (৪২) নামের যুবলীগের এক নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটার দিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া চিলান মোড়ে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যক্তি কদমচিলান ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ডাঙ্গাপাড়া চিলান গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তবে এঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, লালপুর-বাগাতিপাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের অনুসারী ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। তিনি চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন একই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের অনুসারী যুবলীগ নেতা ওসমান গণি। মূলত ইউপি চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই যুবলীগ নেতা ওসমান গণিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সাবেক সংসদ সদস্যের অনুসারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেনের চায়ের দেকানে বসে ছিলেন ওসমান গণি। তখন সকাল আটটা হবে। এ সময় একই এলাকার আব্দুল লতিফ ও রেজাউল করিমসসহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওসমান গণির ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলাকারীরা ওসমানকে এলোপাতাড়িভাবে কোপান। একপর্যায়ে হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে হামলাকারীরা। আতঙ্কে দৌড়ে পালায় স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তি এবং হামলাকারীরা উভয় পক্ষই ক্ষমতাসীন। এ কারণে হত্যা পরবর্তী সহিংসতাও হতে পারে। এই শঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আশে পাশের বাসিন্দারা।
নিহতের ভাই আফছার আলী বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান খুনের মামলায় তার ভাই ওসমান আসামি ছিলেন। মামলাটি এখানো চলমান রয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালামের অনুসারীরা বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই রবিবার সাকেল আচমকা কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর পরই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত আব্দুল লাতিফ ও রেজাউল হোসেন। এ কারণে যুবলীগ নেতা ওসমান গণি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লালপুর থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আগের খুনের জেরে আরও একটি খুন হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা আছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।