ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যায়ামাগারে আসা নারীর ব্যায়াম করার দৃশ্য গোপনে ভিডিও ধারণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌলভীপাড়ার একটি ব্যায়ামাগারে বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, শহরের মৌলভীপাড়ার বিএস ফিটনেস ক্লাব নামে একটি ব্যায়ামাগারে নিয়মিত আসা এক গৃহবধূর ভাসুর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে ঘটনাটি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যায়ামাগারের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, ফিটনেস প্রশিক্ষক মিতু আক্তার ও সাইমকে আটক করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার শিকার গৃহবধূ ও তার বোন নারীদের ব্যায়ামের জন্য আলাদা ব্যবস্থা এবং সেখানে পুরুষের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকায় সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষক মিতু আক্তারের আচরণে গোপন ভিডিও ধারণের ব্যাপারে তাদের সন্দেহ হয়। এরপর বুধবার বিকালে মিতুর কাছে ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মিতু বিষয়টি ব্যায়ামাগারের পরিচালক বিপ্লবকে জানিয়ে এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূর চুলের মুঠি ধরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এরই মধ্যে সোহেল মিয়া নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বিপ্লব ও তার সহযোগীরা তাদের লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটায় এবং সেখানে আটকে রাখে। এ সময়ের মধ্যে উৎসুক জনতা ব্যায়ামাগারের বাইরে জড়ো হয় এবং ঘটনাটি ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। পরে সেখান থেকে সোহেল ও ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।