স্টাফ রিপোর্টার : সাভারে গতকয়েকদিনের অতিরিক্ত লোড শেডিংয়ের কারণে চরম অনিশ্চয়তায় মুখে পড়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। সরকার বলেছিলো দিনে ১ ঘন্টা বা তার থেকে কিছু বেশি সময় লোডশেডিং দেয়া হবে। কিন্তু সাভারে দিনে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। ফলে দারুণভাবে উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া ও পার্শ¦বর্তী ধামরাইয়ের দেড় হাজারের অধিক পোশাক কারখানায়।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একদিকে গ্যাসের সংকট আবার নতুন করে ঘন ঘন লোড শেডিং সব মিলিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। দিনের বেশীর ভাগ সময় জেনারেটরের মাধ্যমে কারখানা চালু রাখায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে অনেক কারখানায় জেনারেটরের উচ্চ শব্দের আওয়াজে শব্দ দূষণে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়া মার্কেটগুলোতেও কাস্টমারদের আনাগোনা অনেক কমে গেছে। বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে।
দেশের রপ্তানীমুখী পোশাকের সিংহভাগই উৎপাদন হয় সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের কারখানাগুলোতে। এসব পোশাক কারখানায় কাজ করেন লক্ষ লক্ষ নারী ও পুরুষ শ্রমিক। এখানে উৎপাদিত পোশাক যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের ফলে কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দিনে অধিকাংশ সময় বিদ্যুত না থাকায় বিকল্প বিদ্যুত ব্যবহারের কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে অনেক বেশি। সেই সাথে জেনারেটরের জ্বালানির দামও এখন বেশ চড়া। সব মিলিয়ে পোশাক কারখানাগুলো ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন মালিকরা। আলাপকালে সাভার বাসস্ট্যান্ডের নিকট আজিম গ্রুপের জিকে গার্মেন্ট কারখানার নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কাদির জাহিদ জানান, দ্রুত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট সমাধান না হলে চরম সংকটে পড়বে গার্মেন্ট শিল্প। বিদ্যুত সংকটে উৎপাদন অনেক কমে গেছে। অপরদিকে ব্যয় অনেক বেড়েছে। রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এছাড়া পোশাক কারখানা ছাড়াও বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, মার্কেট ও বিভিন্ন শপিং মলেও লোড শেডিংয়ের কারণে তীব্র গরমে সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। এখন সাভারের পাড়া মহল্লায় আলাচনা-সমালোচনার বিষয় হচ্ছে বিদ্যুৎ।