সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে শ্রীলঙ্কায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও জ্বালানি পাচ্ছে না মানুষ। তীব্র অভাব খাবার-ওষুধেও। দেশের এমন নাজুক পরিস্থিতির জন্য সরকারের ভুল ও অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ডকে দুষছে শ্রীলঙ্কার জনগণ। তাদের সম্পূর্ণ ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে শাসক গোষ্ঠীর ওপর। তাদের রোষানল থেকে ছাড় পায়নি প্রেসিডেন্ট প্যালেসও।
গত সপ্তাহে তৎকালীন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়েছিল কয়েকশ বিক্ষোভকারী। প্রেসিডেন্ট প্যালেসের সুইমিংপুল থেকে শুরু করে রান্নাঘর, এমনকি প্রেসিডেন্টের শোবার ঘরও তছনছ করেছে তারা।
এমন বিক্ষোভ-হট্টগোলের মধ্যে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ঢুকেছিলেন এক শ্রীলঙ্কান তরুণীও। সেখানে হাস্যোজ্বল মুখে রীতিমতো ফটোশুট করেছেন তিনি। তার সেসব ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জানা যায়, ওই তরুণীর নাম মধুহংসী হাসিনথারা। গত ১২ জুলাই ফেসবুকে মোট ২৬টি ছবি আপলোড করেছেন তিনি। এসব ছবি তোলা হয়েছে কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট প্যালেসের বিভিন্ন জায়গায়। এতে মধুহংসীকে গাড়ির সামনে, বিছানায় অথবা সোফার ওপর, সিঁড়ি কিংবা জানালার পাশে কখনো দাঁড়িয়ে কখনো বসা অবস্থায় দেখা গেছে। ছবিগুলো দেখে মনে হতে পারে, তিনি হয়তো আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ঘুরতে গেছেন সেখানে।
এসময় তার পাশে আরও অনেক লোকজন দেখা যায়। তবে দেশে চলমান সংকটের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভস্থলে ওই তরুণীর হাস্যোজ্বল ফটোশুটের সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
মধুহংসীর পোস্টের নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত আপনার! আরেকজন লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার নতুন পর্যটনকেন্দ্র। তৃতীয় এক ব্যক্তির মন্তব্য, নিজের দেশ নিয়ে মজা করছে মেয়েটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ হাজারের ওপর মানুষ রিঅ্যাক্ট করেছে সেই পোস্টে, মন্তব্য পড়েছে ১৬শর বেশি। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে অন্তত নয় হাজারবার। এদের বেশিরভাগই তরুণীর কাণ্ডে কটাক্ষ অথবা সরাসরি সমালোচনা করেছেন।
সূত্র: এনডিটিভি