বগুড়ায় জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যে বিক্ষোভ চলছিলো। এর মধ্যে সংগঠনের এক বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে র্যাব-১২ বগুড়া। কিন্তু পরক্ষণেই আটককৃত নেতাকে ছাত্রলীগের নেত-কর্মীরা মুহূর্তের মধ্যে র্যাবের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে শহরের সাতমাথায় মুজিব মঞ্চের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে বগুড়া র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মুবিনও উপস্থিত ছিলেন।
র্যাবের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুর রউফ। তিনি সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগ নেতা তাকবির ইসলাম খান হত্যা মামলার প্রধান আসামি হওয়ায় সংগঠন থেকে রউফকে বহিষ্কার করা হয়।
গত ৭ নভেম্বর সজীব সাহাকে সভাপতি ও মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে কাঙ্খিত পদ না পেয়ে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা দেড়মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটেছে। এরপর থেকেই নতুন কমিটির নেতারা তালা ভাঙছেন, বিদ্রোহীরা নতুন করে তালা ঝুলিয়ে দিচ্ছে। এভাবে প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে। এর জেরে গত সোমবার রাতে জেলা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগও করা হয়। এর আগে ছাত্রলীগ কার্যালয়ের দরজা কেটে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
চলমান এসব ঘটনার জেরে মঙ্গলবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের আনুসারীরা। এই বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যেই ছিলেন বগুড়া আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে তাকে সাতমাথা এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল তাকে আটক করেন। বিষয়টি টের পাওয়া মাত্রই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে জোর করে রউফকে ছিনিয়ে নিয়ে নিয়ে যান। এ সময় শ্লোগান দিতে দিতে দলীয় কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নেন।
রউফকে আটকের সময় ঘটনাস্থলে র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা অন্য একজনকে ভেবে তাকে আটক করেছিলাম। পরে তার নাম পরিচয় জানার পর ছেড়ে দিয়েছি।